June 16, 2025, 2:46 pm
শিরোনাম
শিরোনাম
পদ্মামনসা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী তেরখাদায় মৎস্যজীবি দলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত তেরখাদার সরকারি ইখড়ি কাটেঙ্গা ফজলুল হক মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এস এস সি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা ও নবীন বরণ অনুষ্ঠান পদ্মা মনসা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত। লালমোহন জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে কু*পি*য়ে র*ক্তাক্ত জখম, আহত ৩ পূবালী ব্যাংক কুঞ্জেরহাট উপশাখায় ইসলামী ব্যাংকিং কর্ণার উদ্বোধন বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতায় উপজেলা সেরা গ্রীন ভিউ মডেল স্কুল বোরহানউদ্দিনে বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও তারুন্যের মেলা অনুষ্ঠিত বোরহানউদ্দিনে‘তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত বোরহানউদ্দিন কাচিয়া ইউনিয়নে ছাত্রদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্র সমাবেশে অনুষ্ঠিত

এমন রাজনীতি করলেন আপনাকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে হলো,ডা. শফিকুর রহমান

রিপোর্টারের নাম 38 টাইম ভিউ
আপডেট: June 16, 2025, 2:46 pm

বিশেষ প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ, তিনি যেটা কালিমা হিসেবে জাতির কপালে লিখে দিতে চেয়েছিলেন। জাতি এটা তার দিকে ফিরিয়ে দিয়েছেন। এমন রাজনীতি করলেন, বললেন উন্নয়নের রাজপথে দেশকে উঠিয়ে দিয়েছেন। বললেন বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। এমন বানালেন, আর এমন রাজপথ তৈরি করলেন, গাড়িটা রাজপথ দিয়ে চালিয়ে আপনি যেতে পারলেন না। এমন রাজনীতি করলেন আপনাকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে হলো। সাড়ে ৮ শ বছর আগে লক্ষণ সেন গিয়েছিলো, আর আপনি গেলেন তার পরে।
সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের মাগফেরাত ও আহত ও শহীদ পরিবারের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের চরিত্রে কালিমা লেপন করা হয়েছে। আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদির মতো মানুষকে বলা হয়েছে তিনি ধর্ষক। তিনি খুনি, তিনি লুটেরাজ, তিনি অগ্নিসংযোগকারী। সময় বদলায়, পরিবেশ বদলায়। সত্যকে চাপা দিয়ে রাখা যায় না। সত্য মাটির নিচ থেকে উঠে আসে। এভাবে নির্যাতন করা হয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর, নির্যাতন করা হয়েছে হেফাজতে ইসলামের উপর, নির্যাতন করা হয়েছে গণ অধিকার পরিষদের উপর, নির্যাতন করা হয়েছে সাধারণ মানুষের উপর। হত্যা করা হয়েছে সাংবাদিক বন্ধুদের। কালো আইনে টেনে হিঁচড়ে নেওয়া হয়েছে তাদের জেলে। তারা কাউকে বাদ দেয়নি।

তিনি বলেন, দেশকে স্বৈরাচার মুক্ত করতে হাজার খানেকের মতো আমাদের কলিজার টুকরারা জীবন দিয়েছেন। এখানে কোনো দলমত নাই। এখানে কোন ধর্ম নাই। এখানে সকল ধর্মের মানুষ অংশ গ্রহণ করেছেন, সকল ধর্মের মানুষই মারা গিয়েছেন। নিহত ও আহত হয়েছে। শহীদদের আমরা কোনো দলের সম্পত্তি বানাতে চাই না। এই শহীদরা জাতির সম্পদ, এই শহীদরা আমাদের শ্রদ্ধার পাত্র। এই শহীদরা আজীবন জাতীয় বীর। আমরা তাদের সেই মর্যাদায় দেখতে চাই। যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের নিয়ে কোনো দল যেন ক্রেডিট নেওয়ার চেষ্টা না করি। এটা আমাদের সকলের ত্যাগের ফসল। তাহলে সকলের প্রতি সম্মান দেখানো হবে।

আতদের উল্লেখ করে তিনি বলেন, আহতদের পাশে যাবেন। তাদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করবেন। আমরা চেষ্টা করছি, যাদের চিকিৎসা দেশে সম্ভব নয়, তাদেরকে একটু উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হবে। দুই একটা দেশের সঙ্গে আমরা আলাপ আলোচনা করেছি। তারা আগ্রহ দেখিয়েছেন। তারা যদি একটু এগিয়ে আসে, এই সমস্ত দুখী মানুষের বিরাট উপকার হবে। যারা এগিয়ে আসবেন, তাদের প্রকৃত বন্ধু হিসেবে আমরা কবুল করব।

বিগত সরকারের শাসনামল নিয়ে বলেন, ১৭ বছর ৬ মাস এ জাতি বন্ধিত্বের নিকট বাঁধা ছিলো। মুখে ছিলো তালা, হাতে ছিলো হ্যান্ডকাপ, পায়ে ছিলো বেরি। এ দেশের ১৫ কোটি মানুষ ছিলো মজলুম। রাস্তায় যে ভাই বা বোন ভিক্ষা করতেন তিনিও ছিলেন মজলুম। বিগত সরকারের সময় ভিক্ষুকদেরও চাঁদা দিতে হতো। প্রত্যেকটি মানুষই ছিলো জুলুমের শিকার।

শফিকুর রহমান বলেন, শহীদ নিজামী বলেছিলেন, আমার রক্ত বাংলাদেশে কথা বলবে। আমার রক্ত বাংলাদেশের পরিবর্তনের সূচনা করবে। সাড়ে ১৫ বছর এরা জাতির উপর স্টিম রুলার চালিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি আঘাত দিয়েছেন জামায়াতে ইসলাম ও ইসলামি ছাত্র শিবিরের ওপর। আমাদের মতো মজলুম সংগঠন আর কেউ না। আর কারো এতো গুলো নেতাকে হত্যা করা হয়নি। আর কারো বাড়ি ঘর বুলডুজার দিয়ে ভাঙা হয়নি। আর কারো বাড়ি ঘরে আগুন ও লুটপাট করা হয়নি। আমাদের পর্দাশীল মা বোনদের ইজ্জত নিয়ে টানাটানি করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের নির্যাতন নিয়ে বলেন, যে সাংবাদিক ভাই বিদেশে বসে অন্যায়, জুলুমের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, দেশের তার পরিবারের কোন বোনকে টেনে নিয়ে টানা হেঁচড়া করা হয়েছে। কোন ভাই ফেসবুকে কিছু লিখলে, আজরাইল রূপি ডিবি তার ঘরে গিয়েছে। তাদের হেনস্থা করা হয়েছে।

জেলা জামায়াতে ইসলামের আমীর আহসান হাবিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য অধ্যক্ষ মো. ইজ্জত উল্লাহ ও ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী। এতে বক্তব্য রাখেন ধনবাড়ীর নিহত একরামুল হক সাজিদের পিতা জিয়াউল হক, সৈয়দা আক্তার, জেলা বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনকারী মনিরুল ইসলাম, জেলা শিবিরের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মতিউল্লাহ, শহর শিবিরি সভাপতি মামুন আব্দুল্লাহ প্রমুখ।

এ সময় বিভিন্ন উপজেলা জামায়াত ও শিবারের ছয় সহশ্রাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। শেষে শহিদ আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনা করে দোয়া করেন জামায়াতে ইসলামের আমির ডা. মো. শফিকুর রহমান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর