রোজায় পণ্যের অগ্নিমূল্যে অসহায় ক্রেতা। প্রথম রোজায় ইফতারির আয়োজন এবং পরবর্তী রোজার সেহরির জন্য খাদ্যপণ্য কিনতে অনেকেই ছুটছেন বাজারে। কিন্তু সেখানে পণ্যের ঘাটতি না থাকলেও সবাই দাঁড়িয়ে আছেন মলিন মুখ নিয়ে। কারণ, বাজারে চাল, ডাল, তেল, চিনি, আটা, ময়দা, ছোলা, বেসন, মাছ-মাংসসহ প্রায় সব ধরনের পণ্য বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। আর বিভিন্ন ফলেরও অসহনীয় দাম থাকায় চাহিদা মেটাতে দুই-এক পিস ওজন করে কিনতে হচ্ছে। লেবু-শসার দামও অসহনীয়। মঙ্গলবার ভালোমানের প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকায়, যা সাতদিন আগে ছিল ৬০-৭০ টাকা। মাঝারি মানের প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা, যা সাত দিন আগে ৪০-৫০ টাকা ছিল। পাশাপাশি এক সপ্তাহ আগে প্রতি হালি যে লেবু ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, তা মঙ্গলবার খুচরা বাজারে ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ৩০ টাকা হালিতে বিক্রি হওয়া লেবুও এদিন ক্রেতাকে ৫০ টাকায় কিনতে হয়েছে। এতে বাজারে নিুবিত্ত ছাড়াও মধ্যবিত্তদেরও নাভিশ্বাস অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া ব্রয়লার মুরগির কেজি ২৩০ এবং গরুর মাংস ৭৫০ টাকায় বিক্রি হওয়ায় খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের অনেকে এখন সাধ ও সাধ্যের মধ্যে মাংস কিনতে পারছেন না। ফলে গরিবের জন্য বাজার করা এখন বড় ধরনের মানসিক কষ্ট ও হতাশার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেউ কেউ বাজারে গিয়ে অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে থাকছেন। কেউ আবার নিরুপায় ঘোরাফেরা করছেন। রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র লক্ষ করা গেছে। লাগামহীন দামের অবস্থা তুলে ধরতে গিয়ে যুগান্তরের কাছে ক্ষোভ-অসন্তোষ জানিয়েছেন অনেকে ক্রেতা। তারা বলেন, মিডিয়ায় এসব লিখে কোনো লাভ হবে না। যারা ব্যবস্থা নেওয়ার, তারা নিচ্ছে না। সিন্ডিকেট নিয়ে অনেক কথা শুনেছি। ওরা এতই প্রভাবশালী, তাদের বিরুদ্ধে কেউ কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না।এদিকে রমজান ঘিরে বাজারে নিত্যপণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম স্থিতিশীল রাখতে বহুমুখী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে তিনটি মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো একসঙ্গে কাজ করছে। এর আওতায় রোজায় পণ্যের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পণ্যের আমদানি বাড়াতে ডলারের জোগান দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে কিছু পণ্যের দাম কমেছে। এছাড়া ৮ পণ্য আমদানির এলসি মার্জিন এবং ৪ পণ্যের শুল্ক কমানো হয়েছে। এরপরও পণ্যের দাম কমছে না। উলটো বাড়ছে। অন্যবারের মতো এবারও সেই সিন্ডিকেটের থাবা পড়েছে রমজাননির্ভর পণ্যের ওপর। এতে ভোক্তার জন্য সরকারের দেওয়া ছাড়ের সুবিধা চলে যাচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীদের পকেটে। ফলে সরকারের বহুমুখী পদক্ষেপের সুফল পাচ্ছেন না ভোক্তারা। পাশাপাশি সরকারের তরফ থেকে নীতি সহায়তায় ছাড় দেওয়া হয়েছে। বাজার তদারকিতে মাঠে কাজ করছে সরকারি ১৪টি সংস্থা। তারা নিয়মিত তদারকি অভিযান পরিচালনা করছে। অনিয়ম পেলেই সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। টিসিবির মাধ্যমে সরকার ভর্তুকিমূল্যে পণ্য বিক্রি করছে। এতসব উদ্যোগের পরও সুফল মিলছে না বাজারে। নিয়ন্ত্রণে আসছে না পণ্যের দাম।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় রাজধানীর কাওরান বাজারে দেখা হয় হুসেন আলীর (৫২) সঙ্গে। তার পিছু নিয়ে দেখা গেল, বাজারের একটি গরুর মাংসের দোকানে গিয়ে তিনি দাম জানতে চাইলেন। দোকানি ৭৫০ টাকা কেজি বলতেই অন্য দোকানে ঢুকলেন। সেখানেও ৭৫০ টাকা চাইলেন। পরে তিনি বিড়বিড় করে বললেন, কিছুদিন আগেও ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পরে আরেকটি দোকানে গিয়ে আধা কেজি (৫০০ গ্রাম) দিতে বললেন। সেখান থেকে আধা কেজি গরুর মাংস ৩৮০ টাকায় কিনলেন।
একই দোকানে আরেকজন ক্রেতা মো. আল আমিন মাংসের কেজি ৭৫০ টাকা শুনে মন খারাপ করে গেলেন মুরগির দোকানে। কেজিপ্রতি ২৩০ টাকা দরে একটি ব্রয়লার মুরগি (২ কেজির বেশি) কিনলেন। এরপর কওরান বাজারের হাসিনা মার্কেটের সামনে গিয়ে থেমে গেলেন। মোবাইল ফোনের ক্যালকুলেটরে অঙ্ক মেলাতে লাগলেন। ওই সময় তিনি যুগান্তরকে বললেন, প্রতিবছর প্রথম রোজায় ছেলেমেয়েদের জন্য সেহরি ও ইফতারে একটু ভালো আয়োজন করা হয়। এবারও বাজারে এসেছি। কিন্তু অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে একটি ব্রয়লার মুরগি কিনে টাকা শেষ পর্যায়ে। এখনো ছোলা, ডাল, চিনি কেনা বাকি। তাই একটু অঙ্ক মিলিয়ে নিচ্ছি। কত নিয়ে এসেছিলাম আর কত টাকা খরচ হলো, তা মেলাচ্ছি।
দুপুর ১টা, রাজধানীর শান্তিনগর বাজারে পণ্য কিনতে এসেছেন সিয়াম ও লিজা দম্পতি। তাদের সঙ্গে কথা হলে তারা যুগান্তরকে বলেন, বাজারে এসে মুখটা মলিন হয়ে গেছে। কিছুদিন আগেও প্রতি কেজি ছোলা ৮০ টাকা দিয়ে কিনেছি, আজ ১১০ টাকা দাম চাচ্ছে। কয়েক মাস আগেও ১৩০ টাকায় চিনি কিনেছি, এখন ১৫৫ টাকা চাচ্ছে। মসুর ডাল কিনতে কেজিতে গুনতে হচ্ছে ১৪০ টাকা, যা আগে ১৩০ টাকা ছিল। আর সয়াবিন তেলের দামেও আগুন। সরকার দাম নির্ধারণ করলেও সেই দামে পাওয়া যাচ্ছে না। বিক্রেতারা প্রতি লিটার বিক্রি করছেন ১৭০ টাকা। দুই দিন আগেও যে বেগুন ৬০-৭০ টাকা ছিল, তা এখন ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এমন যদি অবস্থা হয়, তাহলে আমাদের মতো নিুমধ্যবিত্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? বাজারে এক ধরনের নৈরাজ্য চলছে, দেখার যেন কেউ নেই।
মালিবাগ কাঁচাবাজারে কথা হয় বিল্লাল হোসেনের সঙ্গে। তিনি যুগান্তরকে বলেন, ৬০-৭০ টাকা কেজির মুড়ি বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা। বেসন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা, যা আগে ৬০-৭০ টাকা ছিল। বুটের ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা, যা আগে ৮০ টাকা ছিল। প্রতি লিটার খোলা সরিষা তেলের বোতল বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকা, যা আগে ২৪০ টাকা ছিল। এমন যদি হয় অবস্থা, তাহলে অসহায়ত্ব প্রকাশ করা ছাড়া আর কিছু থাকে না।
অন্যদিকে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি লাল আপেল ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে; যা কিছুদিন আগেও ২৬০-২৭০ টাকা ছিল। কমলা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা কেজি, যা আগে ২৮০-৩০০ টাকা ছিল। প্রতি কেজি আনার বিক্রি হচ্ছে ৩৬০ টাকা, যা আগে ৩১০ টাকা ছিল। প্রতিকেজি বড়ই বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, যা আগে ৭০-৮০ টাকা ছিল। পেয়ারার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা, যা আগে ৬০-৭০ টাকা ছিল। রাজধানীর একাধিক বাজারে গিয়ে খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাজারে সবচেয়ে কম দামে বিক্রি হয় গলা বা বাংলা খেজুর। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। যা গত বছরের রমজানে ১২০-১৩০ টাকা ছিল। জাহিদি খেজুর প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৫০ টাকা, আগে ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বাজারে প্রতি কেজি দাবাস খেজুর মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪৫০-৫৫০ টাকা, যা আগে ৩০০-৩৪০ টাকা ছিল। সে হিসাবে গলা, জাহিদি ও দাবাস তিন ধরনের খেজুরের দাম প্রায় ৬০ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া প্রতি কেজি বরই খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৪৪০-৫৪০ টাকায়। গত বছর বিক্রি হয়েছিল ২২০-৪৩০ টাকায়। সে হিসাবে খেজুরের এ জাতটির দামও বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ। বিক্রেতারা জানান, জাম্বো মেডজুল মানভেদে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকায়। গত বছর রোজায় বিক্রি হয়েছে ১১০০ থেকে ১২০০ টাকায়। সাধারণ মেডজুল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০০ থেকে ১২০০ টাকায়। গত বছর এর দাম উঠেছিল এক হাজার টাকা। মাবরুম খেজুর প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০০ থেকে ১৫০০ টাকায়। গত বছর ছিল ৯০০ থেকে এক হাজার টাকা। প্রতি কেজি আজওয়া বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১২০০ টাকা, যা গত বছর ৮০০ থেকে এক হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি তিউনিশিয়া খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়, যা আগে ৩০০ টাকা ছিল।
নয়াবাজারে ফল কিনতে আসা মো. শাকিল বলেন, সব ফলের অনেক দাম। তাই চাহিদা মেটাতে দুটি আপেল ওজন করে ৭৫ টাকা, দুটি কমলা ১০০ টাকা, দুটি পেয়ারা ৩৪ টাকা, এবং আধাকেজি বড়ই ৫০ টাকা দিয়ে কিনেছি। আর খেজুরের দাম বেশি, তাই এ পণ্য আধা কেজি ৪০০ টাকায় কিনে বাড়ি ফিরছি।
জানতে চাইলে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান যুগান্তরকে বলেন, ব্যবসায়ীদের অতিমুনাফা করার প্রবণতায় পণ্যের দামে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। এসব দেখার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগও নিয়েছে। তবে সুফল নেই। সব মিলে এবারের রমজানে পণ্য কিনতে ক্রেতার বেগ পেতে হচ্ছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা গেলে ক্রেতার একটু হলেও স্বস্তি মিলবে।
এ প্রসঙ্গে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেছেন, ব্যবসা করতে হলে দেশের আইন মেনে করতে হবে। উৎপাদন থেকে ভোক্তা পর্যন্ত বাজারে একটা শৃঙ্খলা আনতে চায় সরকার। তাই সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধান করা হবে। তিনি বলেন, তেলের শুল্ক কমানো হলেও বাজারে তা বাস্তবায়নে ঘাটতি আছে। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া বিকল্প ব্যবস্থা করে মৌসুমি বা এক রাতের ব্যবসায়ীদের আর ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না। আর পণ্যের দাম ক্রেতার সহনীয় পর্যায়ে আনার জন্য সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত আছে। কেউ কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি, অবৈধ মজুত গড়ে পণ্য সরবরাহে বাধা সৃষ্টি করলে তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উত্তরা পশ্চিম (ঢাকা) প্রতিনিধি জানান, উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টর কাঁচাবাজার ও আশপাশের মার্কেটগুলো মঙ্গলবার ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতাদের কাছে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজিতে। অথচ মোমবার রাতেও পার্শ্ববর্তী তুরাগ এলাকার বাজারগুলোয় এই বেগুন বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ৪০-৫০ টাকায়। পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোয় দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকা বিক্রি হলেও রাত গড়াতেই কেজিপ্রতি ২০ টাকা বাড়িয়ে ১০০ টাকা রাখা হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের কাছ থেকে। গেল সপ্তাহের তুলনার লেবুর হালিপ্রতি দাম বেড়েছে ২০ টাকা। প্রতি হালি লেবু রাখা হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত। ছোলা প্রতি কেজিতে ১০ টাকা বাড়িয়ে ১২০ টাকায় বিক্রি করছে দোকানিরা। উত্তরার বাজারগুলোয় ফল ব্যবসায়ীদের সব ধরনের ফলের দাম আগের তুলনায় ২০ থেকে ৩০ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
মিরপুর (ঢাকা) প্রতিনিধি জানান, মিরপুরের বিভিন্ন বাজারে আপেল প্রতি কেজি ৩৪০ টাকা (লাল), ৩৫০ টাকা (সবুজ) কমলা প্রতি কেজি ২৮০ টাকা (ইন্ডিয়ান), ৩০০ টাকা (আফ্রিকান) ৩-৪ দিন আগে কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা কম ছিল। আঙুর প্রতি কেজি ৩০০ টাকা (সবুজ), ৪০০ টাকা (কালো) ৩-৪ দিন আগে কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা কম ছিল।
ডেমরা (ঢাকা) প্রতিনিধি জানান, ডেমরার সারুলিয়া, ডেমরা, কোনাপাড়া, বড়ভাঙ্গা, স্টাফ কোয়ার্টার, বামৈল, ডগাইর বাজারসহ বিচ্ছিন্ন বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, তিনদিন আগে যে খেজুর বিক্রি হয়েছে ৪০০ টাকা, তা মঙ্গলবার বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়, একই ভাবে ৩৫০ টাকা কেজি বড়ই খেজুর কোথাও ৪৫০ আবার কোথাও ৫০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ৫২০ টাকা কেজির চাপশি খেজুর বর্তমানে ৬০০ টাকা, ৯৫০ টাকার মরিয়ম খেজুর ১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুরগি ও সবজির বাজারেও একই অবস্থা। ব্রয়লার ২০০ টাকা কেজির পরিবর্তে ৩-৪ দিনের ব্যবধানে ২২০ টাকা, লাল লেয়ার ২৯০-৩০০ টাকা থেকে ৩৩০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৪০ থেকে ২৭০ টাকা, কক মুরগি ২৮০-২৯০ থেকে ৩১০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। ()