মোঃ সিরাজুল ইসলাম বোরহানউদ্দিন (ভোলা) প্রতিনিধিঃ ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা বিএনপির আয়োজনে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৯৭৫ সালের এই দিনে সিপাহি-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবে দেশের তৎকালীন রাজনীতির গতিধারা পাল্টে গিয়েছিল। দেশ ও জাতি পেয়েছিল নতুন দিশা।
সেনাবাহিনীর তৎকালীন উপপ্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খালেদ মোশাররফ তার অনুসারী সেনা সদস্যদের নিয়ে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে বন্দি করেন। নিজেকে সেনাপ্রধান হিসেবে ঘোষণা দিয়ে ৬ নভেম্বর বঙ্গভবনে গিয়ে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট খন্দকার মোশতাক আহমেদকে গ্রেফতার করে মন্ত্রিসভা বাতিল ও জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা দেন খালেদ। প্রধান বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমকে দেশের প্রেসিডেন্টের পদে বসান। ওই রাতেই সেনাবাহিনীর সাধারণ সিপাহিরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।
সেই অভ্যুত্থানে স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন দিয়ে সর্বস্তরের জনতা রাজপথে নেমে আসে। সিপাহি-জনতার মিলিত সেই বিপ্লবে বন্দি অবস্থা থেকে মুক্ত হন জিয়াউর রহমান। পাল্টা অভ্যুত্থান ঠেকাতে গিয়ে ৭ নভেম্বর সকালে কয়েকজন অনুসারীসহ প্রাণ হারান খালেদ মোশাররফ। অভূতপূর্ব এক সংহতির নজির সৃষ্টি হয় দেশের রাজনীতিতে। জিয়া চলে আসেন ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে।
এর পর থেকে ৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে পালিত হচ্ছে। বিএনপি সরকারের আমলে এ দিনটিতে ছিল সরকারি ছুটি। তবে আওয়ামী লীগের দেড় যুগের শাসনামলে গত দেড় দশকেরও বেশি সময় দিবসটি স্বাচ্ছন্দ্যে উদযাপন করতে পারেনি বিএনপি।
আজ বোরহানউদ্দিন উপজেলা কাচিয়া ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি শেখ সাদী হাওলাদার, বিএনপি নেতা শাহীন হাওলাদার, হেলাল উদ্দিন মারুফ, সাফিজল হক মাতব্বর, যুবদলের আহবায়ক রাছেল শাহ্, মেহেদী হাসান মিহির মিয়া, রুবেল চৌধুরী, সিরাজ মেম্বার,কবির হাওলাদার, হাসেম হাওলাদার,
সেচ্ছাসেবক দলের নেতা, মাকসুদ শাহ্, আ: মতিন ।
ছাত্র দলের সভাপতি রাফসান হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক রায়হান মিঝি,ছাত্রনেতা সিহাব হাওলাদার, রাকিব মিঝি অন্যান্য ছাত্র নেতাসহ বিএনপির সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের উপস্থিতে কাচিয়া ইউনিয়নের উপ-শহর কুঞ্জেরহাট বাজারে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের র্যালি প্রদর্শনী হয়।