জেলা প্রতিনিধিঃ
রাঙ্গামাটি,জেলার রাজস্থলী উপজেলা ৩ নং বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়নের ইসলামপুর (গাইন্দ্যা) বাজারের শুক্রবার সাপ্তাহিক হাটের দিনে কোনো পাহাড়ি ক্রেতা-বিক্রেতাকে দেখা যায়নি। এ নিয়ে বান্দরবানের রাজবিলা, রাজস্থলী, গাইন্দ্যা বালু মুড়া থেংখালি সহ বিভিন্ন বাসিন্দাদের মধ্যে অস্বস্তি রয়েছে। পাহাড়িরা না আসায় বাজারও জমেনি। এতে লোকসানের মুখে পড়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
আজ শুক্রবার সকাল ৮ টায় রাজস্থলী উপজেলার ইসলামপুর বাজারে গিয়ে দেখা যায়, পাহাড়ি ক্রেতা–বিক্রেতা নেই বললেই চলে। যে-সব বাঙালি বাজার করতে এসেছেন, তাঁরাও দ্রুত কাজ সেরে চলে যান। স্বাভাবিক সময়ে হাটের দিন ভিড় ঠেলে চলাচল করতে হয় ক্রেতাদের। কিন্তু আজ বাজার ছিল ফাঁকা। বেশ কিছু দোকানও খোলেনি। অন্য দিনের তুলনায় ছোট বড় গাড়ির সংখ্যাও ছিল কম দেখা গেছে।
ইসলামপুর বাজারের আরেক মুদিদোকানের ব্যবসায়ী বলেন, এক সপ্তাহ হলো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। হঠাৎ করে আজ কোনো বেচাকেনা নেই। পাহাড়িদের পাশাপাশি বাঙালি ক্রেতারাও বাজারে কম চোখে পড়েছে।
ইসলামপুর বাজারের এক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পাহাড়িরা কেন আজ শুক্রবার সাপ্তাহিক হাটে আসেননি, বিষয়টা আমার জানা নেই। আমার ধারণা, বর্তমান পাহাড়ের ও পরিস্থিতি নিয়ে তাঁদের মনে ভয়ভীতি কাজ করছে। একটা বাজারে এভাবে লোকজন না এলে ছোট ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী / ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা অর্থনীতি ক্ষতি সাধন পাহাড়ি-বাঙালি উভয় সম্প্রদায় ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানা যায় ।
এ বিষয়ে রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সজীব কান্তি রুদ্র বলেন, পাহাড়িরা এ সপ্তাহে বাজারে না আসার বিষয়টি আমাকে কেউ অবগত ও অভিযোগ করেনি। এ বিষয়ে আমি বাজার কমিটির সভাপতি/ সেক্রেটারী দের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি বলে গণমাধ্যম কে জানান ।