May 21, 2025, 4:56 pm
শিরোনাম
শিরোনাম
তেরখাদায় মৎস্যজীবি দলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত তেরখাদার সরকারি ইখড়ি কাটেঙ্গা ফজলুল হক মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এস এস সি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা ও নবীন বরণ অনুষ্ঠান পদ্মা মনসা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত। লালমোহন জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে কু*পি*য়ে র*ক্তাক্ত জখম, আহত ৩ পূবালী ব্যাংক কুঞ্জেরহাট উপশাখায় ইসলামী ব্যাংকিং কর্ণার উদ্বোধন বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতায় উপজেলা সেরা গ্রীন ভিউ মডেল স্কুল বোরহানউদ্দিনে বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও তারুন্যের মেলা অনুষ্ঠিত বোরহানউদ্দিনে‘তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত বোরহানউদ্দিন কাচিয়া ইউনিয়নে ছাত্রদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্র সমাবেশে অনুষ্ঠিত জাহিদ মালেক-পলক-মির্জা আজমের বিরুদ্ধে দুদকের ছয় মামলা

ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পেল সেনাবাহিনী

রিপোর্টারের নাম 35 টাইম ভিউ
আপডেট: May 21, 2025, 4:56 pm

গ্রেপ্তার ও বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার মত সুযোগ দিয়ে সেনাবাহিনীকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দিয়েছে সরকার।

সেনাবাহিনীর কমিশন পাওয়া কর্মকর্তাদের সারাদেশে দুই মাসের জন্য বিশেষ এ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী তাদেরকে এ ক্ষমতা দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার এ প্রজ্ঞাপন জারি করে, যা এদিন থেকেই কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে।
ফৌজদারি কার্যবিধির যে ১৭ নম্বর ধারায় সেনা কর্মকর্তাদেরকে বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, সেখানে এই নির্বাহী হাকিমরা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, অর্থাৎ জেলা প্রশাসকের অধীনে থাকার কথা বলা আছে।

ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮-এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ এবং ১৪২ ধারার অধীনে তাদের কার্যক্রম চলার কথা বলা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।

এসব ধারায় গ্রেপ্তার ও গ্রেপ্তারের আদেশ, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করা, তল্লাশি পরোয়ানা জারি, অসদাচরণ ও ছোটোখাটো অপরাধের জন্য মুচলেকা আদায়, মুচলেকা থেকে অব্যাহতি, বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ, স্থাবর সম্পত্তি ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে বাধা অপসারণ এবং জনগণের ক্ষতির আশঙ্কা করলে সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ বিভিন্ন ক্ষমতা পাবেন বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা বাড়তে থাকলে শেখ হাসিনার সরকার ১৯ জুলাই কারফিউ জারি করে সেনাবাহিনী মোতায়েন করে। এরমধ্যেই আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

পরে সেই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে, বিক্ষোভ ও সহিংসতা বাড়তে থাকে। মাসব্যাপী সেই আন্দোলন এক পর্যায়ে সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয়। পরে ৫ অগাস্ট ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনের মধ্যে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান।

সরকার পতনের পর দেশজুড়ে থানায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। আক্রমণের শিকার হতে থাকেন পুলিশ সদস্যরা। আগুন দেওয়া হয় থানা ও পুলিশের স্থাপনায়। লুট করা হয় অস্ত্র ও গোলাবারুদ।

আন্দোলনের মধ্যে মানুষের ব্যাপক সেই ক্ষোভের সময় পুলিশের বেশির ভাগ সদস্য কাজে ফেরেননি। পরে কর্মবিরতিতে যায় পুলিশ। তাদের অনুপস্থিতিতে দেশজুড়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি ঘটে।

সরকার পতনের তিন দিন পর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গহণ করে। নতুন সরকারের সময় কারফিউ না থাকলেও দেশজুড়ে সেনা মোতায়েন থাকে। ‍পুলিশের অনুপস্থিতিতে শুরুর দিকে থানায় থানায় দায়িত্ব পালন করেন সেনা সদস্যরা।

পরে আন্দোলন শেষে পুলিশ কাজে ফিরলেও হারানো সেই মনোবল ফেরেনি। অনেক পুলিশ সদস্য এখনও কাজে যোগ দেয়নি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। এরমধ্যে বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক বিক্ষোভের ঘটনাও ঘটছে।

এমন প্রেক্ষাপটে আগে থেকেই দেশজুড়ে মোতায়েন থাকা সেনাসদস্যদের মধ্যে ‘কমিশন্ড’ কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্বাহী ম্যাজেস্টেটের ক্ষমতা দেওয়া হল।

সেনাবাহিনী দেশজুড়ে অন্যান্য বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে মিলে যৌথ অভিযানেও অংশ নিচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর