গাইবান্দা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বন্যার্ত মানুষের মাঝে ত্রাণের চাল বিতরণ না করে গুদামজাত করে রাখার অভিযোগে কাপাসিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. মঞ্জু মিয়াকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নোটিশে বলা হয়, গত ১৬ জুলাই সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের ত্রাণ শাখা থেকে কাপাসিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বন্যার্ত মানুষের মাঝে বিতরণের জন্য ৩ মেট্রিক টন চাল ইউপি চেয়ারম্যান মো. মঞ্জু মিয়ার অনুকূলে বরাদ্দ করা হয়। সেই চাল উত্তোলন করে বন্যার্ত মানুষের মাঝে বিতরণ না করে তার নিজস্ব গুদাম ঘরে গুদামজাত করেছেন; যা আইন পরিপন্থি।
নোটিশে বন্যার্ত মানুষের মাঝে বিতরণের জন্য বরাদ্দাকৃত জিআর চাউল যথাসময়ে বিতরণ না করায় কেন তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার কারণ আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে দাখিল করার জন্যও বলা হয়।
উল্লেখ্য, বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য গত মাসের প্রথম সপ্তাহে চাল উত্তোলন করেন কাপাসিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মঞ্জু মিয়া। চালগুলো ইউনিয়ন পরিষদে না রেখে কছিম বাজারের মো. জাহাঙ্গীর আলমের গোডাউনে রাখেন চেয়ারম্যান। বন্যা পার হয়ে গেলেও এসব বিতরণ করেননি তিনি।
এলাকাবাসীর ধারণা, এসব চাল গোপনে বিক্রি করার জন্য চেয়ারম্যান সেই গোডাউনে রেখেছেন। খবর পেয়ে রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) রাত সোয়া আটটার দিকে উপজেলা প্রশাসন ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়। পরে ৩০ কেজি ওজনের একশ’ বস্তা চাল সেখানে পাওয়া যায়। সেই চালসহ গোডাউন সিলগালা করে উপজেলা প্রশাসন। পরদিন সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চাউলগুলো বন্যার্ত মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়।
এ বিষয়ে ইউএনও মো. তরিকুল ইসলাম জানান, বন্যার্ত মানুষের মাঝে ত্রাণের চাল বিতরণ না করে গুদামজাত করে রাখার অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান মো. মঞ্জু মিয়াকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। জবাব পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।