কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে সরব সরকার। বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ দলটির বেশ কয়েকজন নেতা; কিন্তু সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহারের দাবিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন, তাতে সরকারের তেমন সাড়া নেই। উল্টো দু-একজন মন্ত্রী শিক্ষকদের আন্দোলন অযৌক্তিক বলেছেন। ফলে আন্দোলনের ভবিষ্যৎ ও দাবি আদায় নিয়ে সন্দিহান খোদ আন্দোলনকারী শিক্ষকরাই।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা মূলত তিন দাবিতে আন্দোলন করছেন। সেগুলো হলো সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহার, শিক্ষকদের জন্য সুপার গ্রেড কার্যকর এবং স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন করা।
জানা গেছে, গত ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে প্রত্যয় স্কিমের প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকেই এটিকে ‘বৈষম্যমূলক’ উল্লেখ করে এর বিরুদ্ধে সরব হন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। কিছু কর্মসূচি পালনের পর ৪ জুন অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকরা। এরপরও দাবির বিষয়ে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় ২৫-২৭ জুন টানা তিন দিন অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন।