কমিটি গঠনে ‘তরুণ’ নেতৃত্বকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে বিএনপি। এতে দলটির সদ্য ঘোষিত ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের কমিটিতে অনেক সিনিয়র নেতা বাদ পড়েছেন। অথচ বাদ পড়া এসব নেতাকে মহানগরীর রাজনীতির জন্য প্রভাবশালী হিসেবেই দেখা হয়। নতুন কমিটিতে বাদ পড়া সিনিয়র নেতাদের অনেকেই অসন্তুষ্ট। ফলে কমিটি গঠনের দিন রোববার রাতেই ঢাকা মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি মির্জা আব্বাসের বাসায় বৈঠক হয়। সেখানে ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবসহ অনেক সিনিয়র নেতা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তারা। গতকাল সোমবার উত্তর ও দক্ষিণের নতুন কমিটির নেতারা দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় বিএনপি মহাসচিব গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেন। তবে বাদ পড়া নেতাদের সবাই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সংঘবদ্ধ থেকে নতুন কমিটির সঙ্গে কাজ করে সামনে এগোতে চান। তারা আলাপকালে জানান, দলের যে কোনো কর্মসূচিতে আগের মতোই সক্রিয় ভূমিকা রাখবেন।
এদিকে বাদ পড়া সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে গতকালও রাজধানীর নয়াপল্টনে ভাসানী ভবনে মহানগর বিএনপির কার্যালয়ে দক্ষিণ নতুন নেতারা বৈঠক করেছেন। দেশ ও রাজনীতির এই সংকটকালে তারা সবাই সম্মিলিতভাবে আন্দোলন সংগ্রামে ভূমিকা রাখবেন বলে বৈঠকে মতামত ব্যক্ত করেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নবগঠিত মহানগর কমিটি খালেদা জিয়ার চলমান আন্দোলনসহ সব আন্দোলনে অত্যন্ত ভালো ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি। আমি মনে করি একটি ঢাকা মহানগরীর বিএনপি জন্য একটি ভালো নেতৃত্ব এসেছে।
মহানগরীর নতুন কমিটি প্রসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী কালবেলাকে বলেন, কারও মুখ দেখে পদ দেওয়া হয়নি। বরং বিগত আন্দোলন সংগ্রামে কার কী ভূমিকা ছিল সেসবই দলের নীতিনির্ধারকরা বিবেচনায় নিয়েছেন। আমি বিশ্বাস করব, নতুন নেতৃত্ব আগামী দিনের আন্দোলন সংগ্রামে আরও বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবীউল্লাহ নবী গতকাল কালবেলাকে বলেন, আমার এখন বয়স হয়েছে। কেউ তো আর দুনিয়াতে চিরদিন থাকবে না। দীর্ঘদিন ধরে মহানগরীতে রাজনীতি করি। হামলা-মামলায় জর্জরিত। জেল খাটতে হয়েছে অনেকবার। নগর বিএনপির নতুন কমিটি যেহেতু বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দিয়েছেন, এ বিষয়ে কিছু বলতে চাই না। যারা আন্দোলন করতে পারবেন তিনি হয়তো তাদের দিয়েই কমিটি করেছেন। আমি দলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। এখন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের উচিত হবে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের লক্ষ্যে আন্দোলন জোরদার করা।