ভোলা প্রতিনিধিঃ ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে আবাসন প্রকল্পে বসবাসরত ভিক্ষুক পরিবারের সামসুদ্দিন ( ৫০)কে পিটিয়ে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে আবাসন প্রকল্পের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটে। কথার কাটাকাটির জের একই এলাকার সাইদুর (৩০) হামলা চালিয়ে ইটের আঘাত করেন ভিক্ষুক সামসুদ্দিনকে। ইটের আঘাতে ভিক্ষুক সামসুদ্দিনের মাথায় গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম হয়। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানেও ১৪ টি সেলাই লাগে ভিক্ষুক সামসুদ্দিনের মাথায় জখম স্থানে। হামলার পরেও ভিক্ষুক পরিবারকে হত্যার হুমকি দেয় হামলাকারী সাইদুর। ভিক্ষুক পরিবারটি নিরুপায় হয়ে বিচার দেয় আল্লাহর কাছে। স্থানীয়দের পরামর্শে বোরহানউদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহিন ফকির (বিপিএম)কে হামলার বিষয়টি জানায় ভিক্ষুক পরিবার। পরে বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশ আইনি সহায়তা দেয় অসহায় ভিক্ষুক পরিবারকে। বিনিময়ে একটি টাকাও লাগেনি অসহায় ভিক্ষুক পরিবারের। বিনা টাকায় হামলাকারীর বিরুদ্ধে বোরহানউদ্দিন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ভিক্ষুক সামসুদ্দিনের পরিবার। ঘটনার দিন রাতেই মামলার আসামি হামলাকারী সাইদুরকে আটক করেছে বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশ। আটককৃত সাইদুলকে ভোলায় বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। অসহায়
ভিক্ষুক পরিবারকে আইনি সহায়তা দেওয়ায় সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছেন বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশ।
আহত সামসুদ্দিনের স্ত্রী জানান, গরিব হওয়ায় আবাসন প্রকল্পের ঘরেই ভিক্ষুক পরিবারের বসবাস। ভিক্ষা করে চলে তাদের সংসার। হামলাকারী সাইদুল তার মেয়েকে কুপ্রস্তাব দেয়। বিষটি নিয়ে তার স্বামী সামসুদ্দিন ও হামলাকারী সাইদুরের মধ্যে কথার কাটাকাটি হয়। পরে সাইদুর ইট দিয়ে তার স্বামীর মাথায় আঘাত করে। এতে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম হয়।
তিনি আরো বলেন, হামলার ঘটনায় বোরহানউদ্দিন থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। সেখানে ১টি টাকাও লাগেনি। গরিবের পক্ষে বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশ আছে। দেশের প্রতিটি থানায় বোরহানউদ্দিন থানার মতো মানবিক পুলিশ চান তিনি।
বোরহানউদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহিন ফকির (বিপিএম)জানান, থানায় মামলা হয়েছে। আসামি সাইদুরকে আটক করা হয়েছে। তাকে ভোলার বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।