December 10, 2024, 2:03 pm
শিরোনাম
শিরোনাম
বোরহানউদ্দিনে ছিনতাইসহ সাজাপ্রাপ্ত আসামি আটক বোরহানউদ্দিনে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যর বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টা মামলা” নিন্দার ঝড় বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারতের নাক গলানোর কড়া সমালোচনা করে যা বললেন রিজভী আওয়ামী লীগ আমলে প্রতি বছর বিদেশে পাচার হয় ১৬ বিলিয়ন ডলার গ্রেনেড হামলা মামলার রায়: বিভিন্ন জেলায় আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ ডেঙ্গুতে আরও ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮৮২ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: তারেক রহমানসহ সবাই খালাস স্থগিত পরীক্ষার বিষয়ে যেসব সিদ্ধান্ত নিলো পিএসসি ক্ষমতায় গেলে শহীদদের নামে প্রতিষ্ঠানের নামকরণের প্রস্তাব করবে বিএনপি সচিবালয়ে অনশনে তিতুমীরের ১২ ছাত্র, কলেজের ফটকে ফের অবরোধ

‘চোখ’ ফুটেছে রেমালের, ব্যাপক তাণ্ডব চালানোর আশঙ্কা

রিপোর্টারের নাম 74 টাইম ভিউ
আপডেট: December 10, 2024, 2:03 pm

ডেস্ক রির্পোট:
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালের কেন্দ্রে ‘চোখ’ ফুটেছে। এটি প্রবল শক্তি নিয়ে উপকূলে আঘাত হেনে ব্যাপক তাণ্ডব চালানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

রোববার আবহাওয়া অধিদপ্তর ও আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিমের (বিডব্লিউওটি) পক্ষ থেকে এ আশঙ্কার কথা জানানো হয়।

ঘূর্ণিঝড়ের চোখ কী- জানতে চাইলে বিডব্লিউওটির প্রধান আবহাওয়া গবেষক খালিদ হোসেন বলেন, একটি সাইক্লোন যখন সংঘটিত হয় তখন আশপাশের মেঘগুলো ছড়ানো ছিটানো অবস্থায় থাকে। মেঘগুলো যখন ধীরে ধীরে সংকুচিত হয়ে আসে তখন এর প্রধান কেন্দ্র প্রচণ্ড গরম থাকে। গরমের ফলে ওই জায়গায় প্রচণ্ড শক্তি তৈরি হয়। এর ফলে নিচ থেকে জলীয় বাষ্পগুলো উপরের দিকে উঠে আসে। তখন উপরের জায়গা পরিষ্কার হয়ে যায়। এই অবস্থাকেই ঘূর্ণিঝড়ের ‘চোখ’ তৈরি হয়েছে বলা হয়। এমন অবস্থা তৈরি হলে চারপাশের মেঘগুলো ঘুরে ঘুরে মাঝখানে একটা চোখের মতো অবয়ব তৈরি করে। এটি মূলত একটি শক্তিশালী সাইক্লোনের লক্ষণ।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান খান জানান, সাধারণত যেসব ঘূর্ণিঝড়ে এমন ‘চোখে’র দেখা পাওয়া যায় সেগুলো শক্তিশালী হয়। ঘূর্ণিঝড় রেমালও প্রচণ্ড শক্তি নিয়ে এগোচ্ছে।

রেমালের অগ্রভাগ এখন উপকূলে চলে এসেছে জানিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান বলেন, ‘এটির অগ্রভাগ এখন বাংলাদেশ উপকূলে। এর কেন্দ্রভাগ সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৩ থেকে ৪ ঘণ্টার মধ্যে অতিক্রম করবে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ভালোভাবে বোঝা যাবে। এটা আগামীকাল (সোমবার) আরও ভালোভাবে বোঝা যাবে।’

আজিজুর রহমান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর দিকেই এগোচ্ছে। এর গতিবেগ ৯০ থেকে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। আবার কোথাও কোথাও দমকা হাওয়া হিসেবে ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘রেমালের কেন্দ্রস্থল ওপরে উঠে যাওয়ার পরেও নিচের অংশ পার হতে হতে মধ্যরাত পর্যন্ত সময় লাগবে। দুপুরে অগ্রভাগ, সন্ধ্যায় কেন্দ্রভাগ ও রাতে নিম্নভাগ অতিক্রম করে ঝড় শেষ হবে। এরপর এটি নিম্নচাপে পরিণত হবে।’

এদিকে রোববার সকালে বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা ঘূর্ণিঝড় ‘রেমালের’ ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সংস্থাটির ১০ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৯ নম্বর মহাপবিদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করা ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ প্রবল বেগে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। এমন পরিস্থিতিতে সংকেত পরিবর্তন করছে সংস্থটি।

রোববার উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে একই এলাকায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৬০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে আজ (রোববার) সন্ধ্যা বা মধ্যরাতের দিকে মোংলার কাছ দিয়ে সাগর আইল্যান্ড (পশ্চিমবঙ্গ)-খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অবস্থায় পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

এ ছাড়া কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর